বর্তমান সময় যে সমস্ত জনপ্রিয় সোসিয়াল গণমাধ্যম রয়েছে সেগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল গণমাধ্যম হল ফেসবুক। ব্যবহারকারীর দিক থেকে ফেসবুক হলো পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী একটি সোশ্যাল গণমাধ্যম।
ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি চাইলে বিভিন্ন রকমের ফায়দা লুফে নিতে পারেন। অর্থাৎ এক কথা বলতে গেলে ফেসবুক যেভাবে ভালো কাজে ব্যবহার করা যায় ঠিক একই রকমভাবে ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে অনেকেই তাদের খারাপ কাজ আত্মসাৎ করে নিয়েছে।
আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করা হবে কিভাবে ফেসবুকে আপনি ভালো কাজের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন। এবং facebook ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টিভিটি কিভাবে বৃদ্ধি করবেন সে সম্পর্কে তথ্য এখানে আলোচনা করা হবে।
Contents
ফেসবুক কিভাবে ভালো কাজে ব্যবহার করবেন?
যে কোন একটি সোশ্যাল গণমাধ্যম বলেন কিংবা যে কোন কিছু বলেন না কেন তার যেমন ভালো দিক রয়েছে, ঠিক একই রকমভাবে তার খারাপ দিক রয়েছে। আমাদের সবার উচিত যে কোন একটি সোশ্যাল গণমাধ্যমের ভালো যে সমস্ত দিক রয়েছে সেগুলো আমাদের প্রোডাক্টিভিটির কাজে ব্যবহার করা।
সে ক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার করার কিছু কৌশল রয়েছে যে কৌশল অবলম্বন করলে আপনি ফেসবুকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং সেটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রাত্যহিক জীবনে অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারবেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই আর্টিকেল আলোচনা করা হবে কিভাবে ফেসবুকে আপনি ভালো কাজে ব্যবহার করবেন এবং এর দ্বারা কিভাবে আপনি আপনার প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি করবেন এবং প্রাত্যহিক জীবনে আপনি বেশি দূর এগিয়ে যাবেন।
ফেসবুক যে সমস্ত ভালো কাজ ব্যবহার করা যায়:
- মার্কেটিং এর কাজে।
- প্রোডাক্ট এর প্রচারণার জন্য।
- আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় নেটওয়ার্ক জেনারেট করার ক্ষেত্রে।
- ব্যবসায়ের ব্যান্ড সিগন্যাল হিসেবে।
- অনলাইন থেকে আয় করার হাতিয়ার হিসেবে।
- ফ্রি অনলাইন কোর্স হিসেবে।
- ধর্মীয় এবং মোটিভেশনাল কাজে, ইত্যাদি।
উপরে যে সমস্ত বিষয়গুলোর কথা তুলে ধরা হয়েছে, এই সমস্ত কাজ আপনি চাইলে ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে করতে পারবেন। অর্থাৎ facebook ব্যবহার করার মাধ্যমে এই সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে নেয়া সম্ভব।
এবং এগুলো ভালো কাজ বটে। এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক এ সমস্ত কার্যক্রম কিভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পন্ন করবেন এবং এগুলো দ্বারা আপনার প্রাত্যহিক জীবনে কি কি রকমের সুফল বয়ে আনতে পারে।
মার্কেটিং এর কাজে
আপনার যদি যেকোনো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে থাকে কিংবা আপনার যদি কোন প্রোডাক্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে সেই প্রোডাক্টের মার্কেটিং করার কাজে ফেসবুকে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি হয়তো এই সম্পর্কে অবগত আছেন যে ফেসবুকে বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন যারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং একই সাথে তাদের অবসর সময় ফেসবুকে ব্যয় করতে পছন্দ করেন।
এবং আপনার জন্য অন্যতম একটি সুযোগ থাকবে তাদের কে কাস্টমার হিসেবে রূপান্তর করা। সেজন্য আপনি চাইলে ফেসবুকে মার্কেটিং এর কাজে ব্যবহার করতে পারেন। মার্কেটিং এর কাজে ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা পূর্বের তুলনায় আরো বেশি লাভবান করতে পারবেন।
প্রোডাক্ট এর প্রচারণার জন্য
এছাড়াও আপনি যদি যেকোনো একটি নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে হাজির হন তাহলে সেই প্রোডাক্টের প্রচারণা করার জন্য যে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন তার মধ্য থেকে অন্যতম প্লাটফর্ম হল ফেসবুক।
ফেসবুকে আপনি যদি একটি অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ক্যাম্পেইন রান করে ফেলেন তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার টার্গেটের কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। এটি একটি অন্যতম পদ্ধতি যার মাধ্যমে সহজেই প্রোডাক্ট এর প্রচারণা করা যাবে।
এছাড়াও আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন ফেসবুকে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে হলে আপনাকে খুব বেশি পরিমাণে টাকা খরচ করতে হয় না। অর্থাৎ, এক কথা বলতে গেলে সুলভ মূল্যে প্রোডাক্টের প্রচারণা করার জন্য ফেসবুক অন্যতম একটি হাতিয়ার হতে পারে।
আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় নেটওয়ার্ক জেনারেট করার ক্ষেত্রে
এছাড়াও যে কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্য আপনাকে অবশ্যই বড় ধরনের নেটওয়ার্ক কানেক্ট করে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য কাস্টমার জেনারেট করে নিতে হবে।
আর একদম ফ্রিতে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় নেটওয়ার্ক জেনারেট করে নেয়ার জন্য কিংবা কাস্টমার জেনারেট করে নেয়ার জন্য অন্যতম একটি প্লাটফর্ম হল ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে এই কাজটি সহজে সম্পন্ন করা যায়।
আপনি চাইলে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ কিংবা গ্রুপ তৈরি করতে পারেন এবং তারপরে সেখানে আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড বিভিন্ন রকমের ইনফরমেশন দিয়ে জনগণকে সহায়তা করতে পারেন এবং আপনার ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে পারেন।
যখনই আপনি ফলোয়ার বৃদ্ধি করে ফেলবেন তখন সেই সমস্ত ফলোয়ারের কাছে আপনি চাইলে আপনার যেকোনো প্রোডাক্টের প্রচারণা ফ্রিতে করতে পারবেন। তবে সেটি করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই বিষয়টিকে ন্যাচারালি করতে হবে।
ব্যবসায়ের ব্যান্ড সিগন্যাল হিসেবে
ব্যান্ড সিগন্যাল বৃদ্ধি করার জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম হতে পারে ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি যেভাবে অডিয়েন্স সংগ্রহ করতে পারবেন অন্যান্য সোসিয়াল গণমাধ্যম ব্যবহার করার মাধ্যমে সেভাবে অডিয়েন্স সংগ্রহ করার কাজ সহজ নাও হতে পারে।
আর যখন আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিরাট আকারের অডিয়েন্স সংগ্রহ করে নিতে পারবেন তারপরে আপনি চাইলে তাদেরকে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যে সমস্ত ভালো দিক রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে অবগত করতে পারেন।
এতে করে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে।
অনলাইন থেকে আয় করার হাতিয়ার হিসেবে
এছাড়া ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি যে ইনকাম করতে পারেন সেটা নিশ্চয়ই আপনি জানেন। ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে যেভাবে ইনকাম করা যায় ঠিক ঐরকম ভাবে আরো বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা সম্ভব।
যেমন আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবহার করার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারেন কিংবা আপনার ফ্যান ফলোয়ার্স যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্টের প্রচারণা করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
এক কথা বলতে গেলে ফেসবুকে আপনি চাইলে আপনার ইনকাম করার অন্যতম একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যার মাধ্যমে সহজেই ইনকাম করা সম্ভব।
ফ্রি অনলাইন কোর্স হিসেবে
ফেসবুকে এরকম অনেক গুরুত্বপূর্ণ পেজ কিংবা গ্রুপ রয়েছে যেখান থেকে আপনি বিভিন্ন রকমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারেন। এ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হয় তার পরেও আপনি সেখান থেকে ইনফরমেশন সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
এবার আপনি যদি যেকোনো একটি বিষয়ের উপরে ফ্রি অনলাইনে কোর্স করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে ফ্রি কোর্স করার জন্য বিভিন্ন রকমের রিসোর্স ফেসবুকে বিদ্যমান রয়েছে।
এই সমস্ত রিসোর্স ব্যবহার করার মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করে আপনি সহজেই যে কোন একটি বিষয়ের উপর ফ্রিতে কোর্স করতে পারবেন এবং সেই সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন।
মোট কথা হল আপনাকে সেখানে রিসার্চ করতে হবে এবং তারপরে আপনার প্রয়োজনীয় টপিক খুঁজে বের করতে হবে এবং ফ্রিতে সেই টপিকের উপর একটি কোর্স করে নিতে পারেন।
ধর্মীয় এবং মোটিভেশনাল কাজে
এছাড়াও আপনি ধর্মীয় এবং একই সাথে মোটিভেশনাল কাজে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন। ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে ধর্মীয় প্রচারণা করতে পারেন এবং একই সাথে আপনি যদি ধর্মীয় হয়ে থাকেন তাহলে সেই রিলেটেড রিসোর্স facebook থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
শেষ কথা: যেকোনো একটি সোশ্যাল গণমাধ্যমের বিভিন্ন ভালো দিক এবং একই সাথে খারাপ দিক বিদ্যমান রয়েছে। আমাদের সকলের জন্য বাঞ্ছনীয় কাজ হল সোসিয়াল গণমাধ্যম বলেন কিংবা যে কোন প্ল্যাটফর্ম বলেন না কেন সেগুলোর ভালো কাজে ব্যবহার করা।
যদি আমরা সে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম ভালো কাজে ব্যবহার করি তাহলে তার দ্বারা সুফল গ্রহণ করা সম্ভব। এবং আমাদের ব্যবহৃত সময় গুলো ভালো কাজে ব্যবহৃত হবে বলে বিবেচনা করা যায়।