সোনালী ব্যাংকে আপনি চাইলে বিভিন্ন রকমের ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতেআর সোনালী ব্যাংকের যে সমস্ত ডিপোজিট একাউন্ট রয়েছে সেগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম একটি হলো সোনালী ব্যাংক মিলিয়নিয়ার স্কিম।
আপনি যদি সোনালী ব্যাংকের মিলিয়নের স্কিম একাউন্ট তৈরি করেন তাহলে সোনালী ব্যাংকের মিলিয়নিয়ার স্কিম একাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে, আপনি এই অ্যাকাউন্ট থেকে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন কিংবা এই অ্যাকাউন্টে যে সমস্ত বিষয়াদি রয়েছে সেগুলো সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক মিলিয়নিয়ার স্কিম সুবিধা
আপনি যদি সোনালী ব্যাংক মিলিয়নিয়ার স্কিম একাউন্ট তৈরি করেন, তাহলে সেই একাউন্টে আপনি চাইলে টাকা জমা রাখতে পারবেন। এবং এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে তিন থেকে ২০ বছরের মেয়াদের জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
বিভিন্ন রকমের মেয়াদের জন্য আপনি বিভিন্ন রকমের লাভ পাবেন। অর্থাৎ একটি সোনালী ব্যাংক মিলিয়নিয়ার স্কিম একাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি যেহেতু তিন থেকে ২০ বছর মেয়াদ এর জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে এই মেয়াদের জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি নানান সুযোগ সুবিধা পাবেন।
এবং এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা গুলো ছাড়াও আপনি যদি এই মিলিয়নিয়ার ক্রিম এর যাবতীয় বিষয় সংক্রান্ত তথ্য জেনে নিতে চান তাহলে সেটি নিচে থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
সোনালী ব্যাংক মিলিয়নিয়ার স্কিম বৃত্তান্ত
সোনালী ব্যাংকের মিলিয়নের স্ক্রিম একাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন সেগুলো নিচে তুলে দেওয়া হলো:
মেয়াদ: ০৩-২০ বছর
- ৬.০০% (চক্রবৃদ্ধি ০৪ থেকে ০৮ বছর মেয়াদী)
- ৬.৫০% (চক্রবৃদ্ধি ০৯ থেকে ১৪ বছর মেয়াদী)
- ৭.০০% (চক্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদী)
উপরে যে সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরা হয়েছে, সে সমস্ত সুযোগ সুবিধা আপনি এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করার মাধ্যমে পাবেন।
তবে এখানে একটি বিষয় স্পষ্টভাবে বলে রাখা ভালো আর সেটি হল, আপনি যখনই সোনালী ব্যাংকে একটি ডিপোজিট একাউন্ট তৈরি করবেন তখন ডিপোজিট একাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি এখানে বেশ কিছু লাভ পাবেন।
অর্থাৎ আপনি যে মূলধন ব্যাংকে জমা রাখবেন তার চেয়ে বেশি টাকা পাবেন। কিংবা প্রতি মাসে আপনি একটি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট আপনার কাছে নিয়ে আসতে পারবেন এবং এই এমাউন্টটি নির্দিষ্ট সময় আপনি পাবেন।
এটাকে শুদ্ধ ভাষায় সুদ বলা হয়। এখন আপনি যদি, একজন মুসলমান ধর্মালম্বি হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি একজন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এবং অবশ্যই এটি থেকে বিরত থাকতে হবে।
কারণ ইসলামের এটিকে স্পষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য নিম্নলিখিত কুরআনের আয়াতটি দেখুন:
সূরা বাক্বরাহ ২৭৫
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لاَ يَقُومُونَ إِلاَّ كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُواْ إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا فَمَن جَاءهُ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِ فَانتَهَىَ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।
আয়াত ২৭৬
يَمْحَقُ اللّهُ الْرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ وَاللّهُ لاَ يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ
আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।
Also Read: আমি প্রবাসী সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিন ( এখান থেকে)